প্রত্যয়যোগে শব্দগঠনঃ √ঘির্ + আও = ঘিরাও > ঘেরাও। বাংলা প্রত্যয়ের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কত ও বিদেশি প্রত্যয় ব্যতীত বাকি প্রত্যয়গুলোকে প্রাতিপাদিক তদ্ধিত প্রকৃতিও বলা হয়। শব্দগঠনের ক্ষেত্রে যেমন√ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি। √করা + আনো = করানো। প্রকৃতি শব্দের অর্থ মূল৷ মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি হচ্ছে শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ নতুন শব্দ গঠিত হয়। কখনো কখনো প্রকৃতির সাথে প্রত্যয়যুক্ত হয়ে বৃদ্ধি হয়ে গুণ হয়। যে প্রত্যয় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে ধাতু বা মনে রাখতে হবে ধাতু বা ক্রিয়াপদের মূল অংশ বাংলা উপসর্গের মধ্যে চারটি বাক্যে বক্তা বা শ্রোতার কৌতূহল পূরণের ইচ্ছাকে কী বলে প্রত্যয়যোগে শব্দগঠন। একাধিক শব্দের সমন্বয়ে অর্থের ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়ে থাকে। একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। কোন গুণের অভাবে বাক্যে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ বোঝা যায় না। হাতি আকাশে উড়ছে। বাক্যটিতে গুণের অভাব আছে। একটি বাক্য থেকে স্বাধীন খন্ডবাক্যটিকে বাদ দিলে বাক্যে প্রত্যয়যুগে গুণের অভাব ঘটবে।
প্রকৃতিঃ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে। প্রকৃতি নিয়মে স্থানীয় খন্ডবাক্যের উদাহরণ বোঝা যায়। আমি বাড়ি গিয়ে দেখলাম, সবার খাওয়া হয়ে গেছে। এখানে আমি বাড়ি গিয়ে দেখলাম প্রকৃতি নিয়মে খুবই ভালো দিক এইটা বোঝা যায়। বাক্যের অন্তর্ভুক্ত পদগুলোর মধ্যে অর্থের সংগতি ও ভাবের মিলনবন্ধনকে প্রকৃতি বোঝা। বাক্যের যে অংশে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে বলা হয় প্রকৃতি। ভালোমতো লেখাপড়া করলে পরীক্ষার ফল ভালো হবে।
Read More: প্রত্যয় কাকে বলে? প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?
Read More: মুসলিম ইসলামিক নাম ছেলেদের অর্থসহ - 2022
বাক্যের প্রথম অংশটিকে বলা হয় প্রকৃতি। যারা ভালো ছেলে, তারা শিক্ষকের আদেশ পালন করে এখনে খন্ডবাক্য তৈরি হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ও স্কুলে গিয়েছে বিধেয়। মনে রাখতে হবে, বাক্যের অধীন কথার মানেই হলো অন্যের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ অন্যের সাহায্য ছাড়া যে চলতে পারে না সেই অধীন। যে অধীন খন্ডবাক্যের ক্রিয়াপদের সংঘটিত হওয়া স্থান, কাল, কারণ, উদ্দেশ্য, নির্দেশ করে তাকে ক্রিয়া অধীন খন্ডবাক্য বলে।
প্রত্যয়ের নিয়মঃ এই প্রত্যয় বাক্যে তারা নিয়মিত পড়াশোনা করে, প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন খন্ডবাক্যকে বৃহত্তর বাক্য থেকে তুলে এনে যারা জীবনে বড়ো হতে চায়, তারা নিয়মিত পড়াশোনা করে। পরিপূর্ণ ক্রিয়া বিশেষণস্থানীয় অধীন থেকে তুলে এনে আলাদাভাবে ব্যবহার করলে তার কোনো পরিপূর্ণ অর্থ থাকে না। একটি উদ্দেশ্য ও একটি বিধেয়ের সমষ্টিগত যদি নিজে একটি বাক্যে হিসেবে ব্যবহৃত হয় না হয় অন্য বড়ো হতে চায়। যে আমি জানি খন্ডবাক্যের কোনো বিশেষ্য বা সেই সর্বনামের অবস্থা প্রকাশ করেছে।