সুমি বাবা মায়ের কাছে খুব আদরের মেয়ে। দরিদ্রতার কারণে সে লেখাপড়া করতে পারে নি। এবং ১৮ বছর বয়সেই তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমত, বিয়ের সময় স্বামীকে যে টাকা পয়সা দেওয়ার কথা ছিল তা না দিতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সুমি সেলাই এর কাজ করে একপর্যায়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনলে তার স্বামী তার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
ক. বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
উত্তরঃ জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ৮ম এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অবস্থান করছে বাংলাদেশ । প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৪০ জন লোক বাস করে আর ভারতে ১.২ বিলিয়ন লোকসংখ্যা সত্ত্বেও প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৬২ জন বাস করে ।
খ. খাদ্য নিরাপত্তা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যের প্রাপ্যতা, খাদ্য ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষমতা এবং খাদ্যের পুষ্টি এই তিনটি বিষয়কে বোঝানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ মানুষের খাদ্য যেহেতু খাদ্য শস্য, বিশেষ করে আমাদের খাদ্যের অভাব রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটার কারণে আমাদের দেশে খাদ্যের নিরাপত্তা দেওয়া জরুরী।
গ. সুমির জীবনে প্রথম সমস্যাটি কোন সামাজিক সমস্যাকে চিহ্নিত করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সুৃমির জীবনে আমাদের যেসব জায়গায় নতুন করে আমাদের বসবাস করার অনুপ্রেরণা জোগায় সেটি হলো সুমির সংসারে জনসংখ্যা বেশি হওয়র কারণে তার পরিবারের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ তার স্বামী যে টাকা উপার্জন করেন তাতে তাদের সংসার এই টাকা দিয়ে চলে না। যার কারণে বিভিন্ন সময় তারা ঝগড়া মারামারি করেন। তারা যদি একটু সচেতন হয়ে তারা বসবাস করত তাহলে তাদের সংসার এ ঝগড়া মারামারি হত না। আমাদের দেশে মানুষ সচেতন না হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় চাপের মধ্যে থাকেন যাদের স্বামী আছেন তারা একটু চিন্তার মধ্যে থাকেন কীভাবে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের কারণে এই সমস্যাটির মধ্যে থাকেন। ঘনবসততির কারণে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। সে কারণে মোকাবিলার জন্য সবাইকে সমষ্টিগতভাবে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে সরকারের দেশে খাদ্যের উৎপাদন দেশে বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া আমাদের সুমির মতো সমস্যার সম্মুখীন হবো তাই আমরা এখন থাকি সচেতন হতে হবে৷
ঘ. সুমির মতো নারীদের এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে উদ্দীপকে বর্ণিত তার কাজটি যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে—বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ সুমির মতো নারীদের এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে আমাদের বিভিন্ন সময় সচেতন থাকতে হবে কারণ আমাদের দেশে মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়র আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমাদের বোনরা তাদের স্বামীর সংসারে গিয়ে শান্তি পাবে না। নিরক্ষতা দূরীকরণের জন্য শিক্ষা উপকরণ থেকে শুরু করে শিক্ষা হার বৃদ্ধি হলে আমরা এসব থেকে বিরত থাকতে পারব। আর আমাদের দেশের মানুষ যেমন খাদ্যের অভাব রয়েছে তেমনি শিক্ষার অভাব থাকার কারণে আমরা আমাদের সংসারে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে থাকি। এই ধরনের সমতাহীন খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বিশেষভাবে শিশুদের পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।